এখানে দেখা যাচ্ছে চরমহল্লা ইউনিয়নের ধান ক্ষেত। হাওর বাওর সুনামগঞ্জ এর ঐতিহ্যবাহী ছাতক উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ এর পুর্ব পার্শে চরচৌড়াই গ্রামের হাজী আমির আলী সাহেবের ধান ক্ষেত। এই ধানই হচ্ছে আমাদের সুনামগঞ্জ এর প্রধান ফসল যা আমাদের কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল।
ছাতকে স্থানীয় জাতের বোরো টেপু ও গর্চি ধান কাটা শুরু হয়েছে। হাইব্রিড, উপসী জাতীয় উচ্চ ফলনশীল ধান কাটা শুরু হতে আরো ১৫ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
ছাতকে চলতি মৌসুমে বোরোর বা¤পার ফলন হয়েছে। হাওর ও মাঠে এখন চলছে সবুজের সমারোহ। কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চলতি মৌসুমে ছাতকে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হাজার ১৯৯ হেক্টর। চাষাবাদ হয়েছে ১৩ হাজার ৭৯৮ হেক্টর। এর মধ্যে উপশী জাতীয় ধান চাষ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৮ হেক্টর জমিতে। হাইব্রিড চাষ করা হয়েছে ৮৮০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের টেপু, গর্চি, গাছমাল চাষ করা হয়েছে ১৫০ হেক্টর জমিতে।
ছাতক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম বদরুল হক জানান, চলতি মৌসুমে বোরোর ফলন ভাল হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে কৃষকদের। এক বিঘা জমি চাষাবাদের জন্য কৃষি পুনর্বাসনের আওতায় উপজেলার ১৮ হাজার ৭৬৬ জন কৃষককে বীজ, সার ও নগদ এক হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ জানান, উপজেলার হাওরগুলোতে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হতে আরো ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে। উপজেলার বিভিন্ন হাওরের নিচু এলাকায় স্থানীয় জাতের বোরো ধান কিছু-কিছু কাটা শুরু হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত ও পীর দেওয়ান আব্দুল খালিক জানান, উপজেলার নাইন্দা হাওর ও ডেকার হাওরে স্থানীয় জাতের ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা।
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, অনেক স্বপ্ন ও আশা নিয়ে এবার ফসলহারা কৃষক বোরো আবাদ করেছেন। চৈত্রের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই হাওরের সবুজ ধান হলুদাভ আভায় রূপ নিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে কান্দায় আমরা দেশি ধান কাটতেও দেখেছি। বছর ভালো হলে এবার বা¤পার ফলন হবেই।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার সাহা বলেন, ধর্মপাশা ও দিরাইয়ে কিছু কিছু এলাকায় বোরো ধান কাটার খবর পেয়েছি। এভাবে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন হাওরে দেশি ধান কাটা হচ্ছে। তবে আগামী এক সপ্তাহের আগে শতকরা হিসাব বলা যাবে না। কারণ এই ধান বিচ্ছিন্নভাবে কাটা হচ্ছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে পুরোদমে দেশি ধান কাটা শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস